এক দিকে শীতের পরশ, অন্য দিকে এ সময়ে উত্তরের পরিষ্কার নীল আকাশে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ দু’য়ে মিলে সময়টি হয়ে ওঠে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের।
শীতের আমেজ মানেই উত্তরবঙ্গ। দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আগেভাগেই শুরু হয়ে যায় শীত। এবছরও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। উত্তরের এই জেলাটিতে টানা চার দিন ধরে রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) পঞ্চগড়ে ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা আগের দিন ছিল ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, জেলাটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরের দিকে কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। ঘাস, লতাপাতায় পছে শিশির ফোঁটা। সন্ধ্যা নামার পরেই শুরু হয় শীতের আমেজ। এছাড়া জেলাটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা। ফলে তা দেখতে হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে ছুটে আসছে বহু পর্যটক। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পঞ্চগড়ে আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে থাকে প্রচণ্ড শীত। তবে ভাদ্র-আশ্বিনের পর শুরু হয় হেমন্ত। হেমন্ত যেন এক অপরূপ প্রকৃতির মুগ্ধকর অনুভূতি। শরতের শেষ ভাগে আশ্বিনের দমকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস বয়ে নিয়ে আসে শীতের পরশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।